বুধবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ:
EUR/USD পেয়ারের 1H চার্ট
বুধবার EUR/USD কারেন্সি পেয়ার প্রায় 250 পিপস দরপতনের সম্মুখীন হয়েছে। এই পেয়ারের মূল্যের বেশিরভাগ নিম্নমুখী মুভমেন্ট রাতের বেলা হয়েছে, যা মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফলের প্রভাবে হয়েছিল। আমরা মনে করি, এমন মুভমেন্টের সময় সক্রিয়ভাবে ট্রেড করা উচিত নয়, কারণ বাজার পরিস্থিতি অত্যধিক অস্থিতিশীল ছিল। 250 পিপসের দরপতনের পর, একইভাবে এই পেয়ারের মূল্য খুব দ্রুত বাড়তে পারত, কারণ ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয়ের পর ডলারের মূল্য বৃদ্ধির জন্য কোনো বাস্তবিক কারণ ছিল না।
সম্ভবত ট্রাম্পের অধীনে গৃহীত রাজস্ব নীতিমালা সত্যিই ব্যাপক মুদ্রাস্ফীতি সৃষ্টি করবে, যা ফেডারেল রিজার্ভকে বেশি সময় ধরে উচ্চ সুদের হার বজায় রাখতে বাধ্য করতে পারে। তবে, যদি এটি ঘটে, তবে এটি এক বা দুই বছরের মধ্যে প্রভাব ফেলতে পারে—এবং এমনকি তখনও এমনটি ঘটবে কিনা তা নিশ্চিত নয়।
আজ ট্রেডারদের দৃষ্টি ফেডের বৈঠকের দিকে থাকবে। যদি ফেড ডোভিশ বা নমনীয় অবস্থান গ্রহণ করে বা সুদের হার 0.5% হ্রাস করে, তাহলে ডলার সহজেই বুধবারের সমস্ত বৃদ্ধি হারাতে পারে।
EUR/USD পেয়ারের 5M চার্ট
বুধবারের ৫-মিনিট টাইম ফ্রেমে অসংখ্য সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল, তবে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য মুভমেন্টটি এশিয়ান ট্রেডিং সেশনের সময় ঘটে। দিনের বাকি সময়টাতে এই পেয়ার ব্যাপক অস্থিরতার সাথে এবং অস্থিতিশীলভাবে ট্রেড করেছে, যেখানে সব গুরুত্বপূর্ণ লেভেল এবং জোন উপেক্ষা করা হয়েছে। আমরা মনে করি, রাতের বেলা ২০০ পিপসের দরপতনের পরে, দিনের বেলা "চলে যাওয়া ট্রেন" ধরার চেষ্টা করা অনুচিত ছিল।
বৃহস্পতিবারে কীভাবে ট্রেড করতে হবে:
ঘণ্টাভিত্তিক টাইম ফ্রেমে, মাসব্যাপী দরপতনের পরে নতুন করে EUR/USD পেয়ারের মূল্যের কারেকশন শুরু হতে পারে, কারণ গতকালের দরপতন খুব একটা যৌক্তিক পরিস্থিতি ছিল না। তবে, আমরা সন্দিহান যে কারেকশনটি শক্তিশালী হবে কিনা, কারণ এর জন্য ধারাবাহিকভাবে ইউরোকে সমর্থন যোগায় এমন খবর প্রয়োজন হবে—এবং এই ধরনের খবর থাকলেও, মার্কেটে বর্তমানে ডলার ক্রয়ের প্রবণতার কারণে তা সবসময় সহায়ক হবে না।
বৃহস্পতিবারের জন্য, আমাদের প্রধান পরামর্শ হলো সাবধানতা অবলম্বন করা। এই পেয়ারের মূল্যের ওঠানামা চলতে পারে, তাই যেকোনো গুরুত্বপূর্ণ লেভেলে ট্রেড করার চেষ্টা করা যেতে পারে। তবে, এই পেয়ারের মূল্যের আবারও বেশি হতে পারে এবং অস্থিতিশীল মুভমেন্ট দেখা যেতে পারে।
৫-মিনিট টাইম ফ্রেমে, ট্রেডিংয়ের জন্য নিম্নলিখিত লেভেলগুলো বিবেচনা করুন: 1.0678, 1.0726-1.0733, 1.0797-1.0804, 1.0845-1.0851, 1.0888-1.0896, 1.0940-1.0951, 1.1011, 1.1048, 1.1091, 1.1132-1.1140। বৃহস্পতিবারে ইউরোজোনে কোনো গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট নির্ধারিত নেই। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, ফেডের বৈঠকের ফলাফল ঘোষণা করা হবে, তারপরে সন্ধ্যায় জেরোম পাওয়েলের সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:
1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।
2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।
4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।
6) কাছাকাছি লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
7) স্টপ লস: মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।
চার্টে কী কী আছে:
সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।
MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। প্রচলিত প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।
নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।